জাফিয়া তাসনিম
আমরা মানুষ হিসেবে যে সমাজে বসবাস করি, সেটা মূলত নির্ভর করে পারস্পরিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও কর্তব্যের ওপর। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সমাজে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক. যারা অন্যের জন্য কাজ করেন। দুই. যারা অন্যের ভরসায় বসে থাকেন। এই দুই শ্রেণির মানুষের ভালো থাকার উপায়ও দুই রকম। কেউ অন্যকে সাহায্য করে সুখী হন। কেউ অন্য কারও সাহায্য পেয়ে খুশি হন।
তবে যারা সব সময় অন্যের সাহায্য পাওয়ার জন্য বসে থাকেন, তাঁদের ভালো থাকা ক্ষণস্থায়ী। সাহায্য পেলেও তাঁরা খুব বেশি কিছু করতে পারেন না। সাধারণত তাঁদের চিন্তাশক্তি দুর্বল হয়। সামাজিক প্রাণী হিসেবে আমরা অনেক কিছু আশা করি। যেগুলো পূরণ না হলে আমাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়। কোনো কিছু আশা করাটা আমাদের স্বাভাবিক আচরণ। তবে বেশি আশা করলে তা বেশির ভাগ সময় দুরাশা হয়ে দেখা দেয়। সবাই যে আপনাকে সব সময় সাহায্য করবে, সেটাও নয়। যার ফলে মানসিক অবসাদ, হতাশা তৈরি হয়। আমাদের ভালো থাকার দায়িত্ব একান্তই আমাদের ওপর নির্ভর করে। কেননা আমরা যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী না হই, তাহলে জীবনের কোনো লক্ষ্যই পূরণ করতে পারব না। যেমন, পরীক্ষার সময় আপনাকেই লিখতে হবে, নিজেকেই পড়াশোনা করতে হবে। অন্য কেউ আপনার হয়ে পরীক্ষায় লিখে দেবে না। নিজের মনকে ভালো রাখার দায়িত্ব যদি নিজেই নিয়ে নেন, তাহলে দেখবেন মানসিকভাবে শান্তিতে আছেন। অথচ এই মন ভালো রাখার দায়িত্ব অন্যের ওপর নির্ভর করলে কখনোই মানসিকভাবে প্রশান্তি লাভ করতে পারবেন না। নিজের ওপর আপনার আত্মবিশ্বাস অনেকখানি কমে যাবে। মানসিকভাবে হীনম্মন্যতায় ভুগবেন। পরিশেষে আপনি জীবনে কোনো উন্নতি সাধন করতে পারবেন না।
ভালো থাকার জন্য এবং সুস্থ মানসিকতা বিকাশের জন্য অতি আশা করা এবং অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে সবাইকেই। নিজের কাজটুকু নিজেকেই করতে হবে। দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো যথাযথভাবে পালন করলে আমরা ভালো থাকব। কারণ, তখন একটি সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এ ছাড়া আপনার মন ভালো রাখতে আপনি নিতে পারেন মনের বন্ধুর সহায়তা। আপনাকে মানসিকভাবে সাহায্য করতে মনের বন্ধু সবসময় প্রস্তুত। কাজেই চলুন আমাদের ভালো থাকার দায়িত্ব আমরা নিজেরাই গ্রহণ করি। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ফেলি। আপনার জন্য মনের বন্ধুর পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল
ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিতএই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
যখনই ঘোষণা এলো ক্লাস শুরু হওয়ার, তখনই তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যেতে শুরু হলো। ভর্তি পরীক্ষার পর থেকে আর বই নিয়ে বসা হয়নি। তার উপর ...
রুমের কোণায় পড়ে থাকা চেয়ারটিতে কাপড়ের স্তুপ জমে জমে ছোটোখাটো একটা এভারেস্ট হয়ে যাচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন একদম চলেই এসেছে, তবু এখনো ...
“আরাম করে বসি। ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করি। সমস্ত মনোযোগ নিয়ে আসি নাকের প্রতি। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নেই এবং ধীরে ধীরে ...
আমাদের মন কত-শত কারণেই না খারাপ হয়! প্রিয় বন্ধু্র সাথে ঝগড়া হলে, পছন্দের বইটি হারিয়ে গেলে, পরীক্ষায় খারাপ করলে আমরা বলি ‘মনটা খুব খারাপ’। কিন্তু মন খারাপ মানেই কি আমি বিষন্নতায় ...