পুরো একটা বছর চলে গেল। কিন্তু আমরা অনেকেই প্রোক্র্যাস্টিনেশন বা গড়িমসির ফলে বছরের শুরুতে আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে পারি না। এতে মনে এক রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। লক্ষ্য পূরণের দৃঢ় মনোভাবটা আর থাকে না। ফলে বছরের শেষে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। আমাদের মনে অনেক সময়ই প্রশ্ন জাগে, ‘এই বছরটাও কি আগের মতোই কেটে যাবে? জীবনে কি নতুন কিছু যোগ হবে না? এ বছর কি সাফল্যের দেখা পাব?’ আজ মনের বন্ধু জানাচ্ছে, কীভাবে প্রোক্র্যাস্টিনেট না করে ইতিবাচকতার মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো যায়।
মনে রাখা জরুরি, আমরা নিজেরাই নিজেদের পরম বন্ধু। সফলতার চাবিকাঠি আমাদের হাতেই। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে, অন্য কেউ করে দেবে না। তাই নিজেই নিজেকে ইতিবাচক কথাগুলো বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেমন, ‘আমি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট’, ‘আমি অনেক ভালো করছি’, ‘আমি সাহসী এবং নিজেকে নিয়ে গর্বিত’, ইত্যাদি
জীবনে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি ইতিবাচক পরিবেশ জীবনকে সফল করতে অনেক সাহায্য করে। আমাদের উচিত নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে থাকা, কেননা তাদের নেতিবাচকতার জন্য আমরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি, বিষণ্ণতায় ভুগি। অন্যদিকে একজন ইতিবাচক বন্ধু আমাদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে।
ছোট ছোট সফলতা উদ্যাপন করার মাধ্যমে আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারি। ছোট ছোট সফলতায় নিজেকে পুরস্কৃত করলে এটি আমাদের মনোবল শক্ত করে এবং নিজের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা জাগে, যা প্রোক্যাস্টিনেশন দূর করতে সাহায্য করে।
অনেক সময় লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে আমরা প্রায়ই ভুল করে ফেলি। তখন মনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। আমরা মানসিক চাপ অনুভব করি। কোনো কাজে মন সায় দেয় না, হতাশায় পড়ে যাই। এ ছাড়াও নানা রকম মানসিক চাপের সম্মুখীন হলে আমরা অনেক বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, ফলে মানসিক অবসাদে ভুগি। আমাদের উচিত এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে, সেগুলো মেনে নিয়ে ইতিবাচক হয়ে আবার চেষ্টা করা।
নতুন বছরে আপনার লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে সাহায্য করবেন মনের বন্ধুর বিশেষজ্ঞরা। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য ইতিবাচক বন্ধু হয়ে সাহায্য করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত। আপনার নতুন বছরের পথ চলা ইতিবাচকতার মাধ্যমে শুরু হোক। মনের বন্ধুর পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভকামনা রইল।
ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিতএই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
যখনই ঘোষণা এলো ক্লাস শুরু হওয়ার, তখনই তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যেতে শুরু হলো। ভর্তি পরীক্ষার পর থেকে আর বই নিয়ে বসা হয়নি। তার উপর ...
রুমের কোণায় পড়ে থাকা চেয়ারটিতে কাপড়ের স্তুপ জমে জমে ছোটোখাটো একটা এভারেস্ট হয়ে যাচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন একদম চলেই এসেছে, তবু এখনো ...
“আরাম করে বসি। ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করি। সমস্ত মনোযোগ নিয়ে আসি নাকের প্রতি। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নেই এবং ধীরে ধীরে ...
আমাদের মন কত-শত কারণেই না খারাপ হয়! প্রিয় বন্ধু্র সাথে ঝগড়া হলে, পছন্দের বইটি হারিয়ে গেলে, পরীক্ষায় খারাপ করলে আমরা বলি ‘মনটা খুব খারাপ’। কিন্তু মন খারাপ মানেই কি আমি বিষন্নতায় ...