নাবিলা আজাদ
পরীক্ষা আসলে অনেকের মনেই একটু ভয় কাজ করে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি সেই ভয়টা এত বেশি হয় যে ঘুম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মাথা কাজ করছে না বা পরীক্ষার হলেই হাত-পা কাঁপছে—তবে সেটিকে হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এই ভয়কে বলে পরীক্ষা-ভীতি বা Exam Anxiety।
কবে বুঝবেন এটা শুধুই টেনশন না, বরং পরীক্ষা-ভীতি?
পরীক্ষা বা রেজাল্টের কথা মনে করলেই যদি—
তবে বুঝে নিতে হবে, আপনি হয়তো পরীক্ষা-ভীতিতে ভুগছেন।
কেন হয় এই পরীক্ষা-ভীতি?
পরীক্ষা-ভীতি হঠাৎ করে হয় না। এর পেছনে নানা কারণ কাজ করে।
১. অতিরিক্ত চাপ
অনেক সময় পরীক্ষার আগে পড়া শেষ না হলে, কিংবা আশপাশের সবাই যখন ভালো করছে—তখন নিজের ওপর চাপটা বেড়ে যায়। সেটাই ভয়ের জন্ম দেয়।
২. অতিরিক্ত প্রত্যাশা
ফার্স্ট হতে হবে বা ফুল এ প্লাস না পেলে চলবে না—এ রকম প্রত্যাশা যদি চলে আসে বাবা-মা, শিক্ষক বা আত্মীয়স্বজনের কাছে থেকে, তাহলে তা থেকেও ভয় তৈরি হতে পারে।
৩. নেতিবাচক চিন্তা
সব সময় নিজের সম্পর্কে খারাপ ভাবলে—‘আমি পারব না’ বা ‘ফেল করব’—এই ধরনের চিন্তা ভয়কে আরও বাড়িয়ে দেয়।
৪. অন্যদের সঙ্গে তুলনা
‘ও তো সব পড়ে ফেলেছে’, ‘ওর প্রস্তুতি আমার চেয়ে অনেক ভালো’—এই তুলনার কারণে আত্মবিশ্বাস কমে যায়, তৈরি হয় দুশ্চিন্তা।
৫. ভুল ধারণা
অনেকের মনে একটা ভুল বিশ্বাস কাজ করে—‘ফল খারাপ হলে কেউ আমাকে ভালোবাসবে না’, ‘ফলাফল খারাপ হলে আমার কোনো দাম থাকবে না’—এসব থেকে পরীক্ষাকে ঘিরে ভয় বাড়তেই থাকে।
ভয় কাটাতে কী করবেন?
ভয় থাকলেও তার মধ্যে ডুবে থাকলে চলবে না। বরং কিছু সহজ অভ্যাস আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
কখন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে?
সবকিছু চেষ্টা করেও যদি ভয় না কমে, বরং আরও বেড়ে যায়—তবে দেরি না করে কাউন্সেলিংয়ের কথা ভাবুন। একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট বিশেষ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষা-ভীতি কাটাতে সাহায্য করতে পারেন। দরকার হলে একজন মনস্তত্ত্ববিদের পরামর্শও লাগতে পারে।
অনেক সময় থেরাপির পাশাপাশি ওষুধেরও প্রয়োজন হতে পারে—তবে সেটা বিশেষজ্ঞরাই ঠিক করবেন।
মনে রাখবেন...
পরীক্ষা জীবনের একটা অংশ, পুরো জীবন না। একটা রেজাল্ট কখনোই ঠিক করে না আপনি কতটা ভালো। ভয়কে স্বাভাবিক ভাবে নিন, বুঝে ফেলুন, এবং সময় থাকতেই তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
Mental stress is our emotional and psychological response when we feel overwhelmed, pressured, or threatened by challenging situations.
Though the era has moved on, the society of our country is still dark. I am saying this because almost all families in our country think “What is mental health again? What is depression?
In the bustling streets of Bangladesh, amidst the vibrant culture and rich traditions, lies a silent struggle that often goes unnoticed—the mental health challenges faced by Bangladeshi men. While the
দুশ্চিন্তা তো কম-বেশি আমরা সবাই করি! তবে কোনো একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা বা উদ্বেগ স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উদ্বেগ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং কারো দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘট