জাফিয়া তাসনিম
শিক্ষার্থীদের জীবনে পরীক্ষা অতি পরিচিত শব্দ। সাধারণত স্কুল কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ক্ষেত্রে পরীক্ষা দিয়েই পাশ করতে হয়। কিন্তু এই পরীক্ষাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়ে দাঁড়ায় ভীতির কারণ। দুশ্চিন্তা এবং অতিমাত্রায় চিন্তার ফলে মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জীবনের বড় একটি পরিসরের মানদণ্ড নির্ণয় করা হয়। পরীক্ষা কেমন হবে, প্রশ্ন কেমন হবে, খারাপ হলে মানুষ কি বলবে ইত্যাদি বিষয়গুলো তৈরি করে অহেতুক দুশ্চিন্তা। অনেক শিক্ষার্থী এই চাপ নিতে না পেরে খারাপ ফলাফল করে এবং বিষণ্নতায় ভোগে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে আত্মহত্যা করার চিন্তাও চলে আসে মাঝে মাঝে।
পরীক্ষা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির অন্যতম কারণ। মানসিক চাপ সৃষ্টির ফলে অনেক শিক্ষার্থী ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, যার জন্য মূলত উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।
আজ মনের বন্ধু জানাচ্ছে পরীক্ষার কারণে সৃষ্ট মানসিক উদ্বেগের মোকাবিলা কীভাবে করা যায়
১. পড়া শুরু করার আগে একটি রুটিন তৈরি করে নিতে পারলে ভালো। এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে কোনো কাজ সহজে করে ফেলা যায়। পড়া শুরু করার আগে কী পড়ব, কীভাবে পড়ব নির্দিষ্টভাবে কোথাও লিখে রাখলে সুবিধা হবে। এতে অনেক সময়ও বেঁচে যায়।
২. মনোযোগ ধরে রাখার জন্য মেডিটেশন করা যায়। পড়া শুরুর আগে বা পরীক্ষার কক্ষে যাওয়ার আগে মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. পরীক্ষার সময় আমরা অনেকেই নানা রকম ভয় অনুভব করি। আমার সিলেবাস শেষ হবে কিনা, প্রশ্ন সহজ হবে কিনা, প্রশ্ন কঠিন হলে আমি উত্তর দিতে পারব কিনা, সময় থাকতে লেখা শেষ করতে পারব কিনা— এ রকম হাজারো নেতিবাচক চিন্তা মাথায় খেলা করে। এ জন্য আমাদের উচিত নিজের সঙ্গে ইতিবাচক কথোপকথনের অভ্যাস তৈরি করা। নিজেই নিজেকে বোঝানো যে আমি পারব, প্রশ্ন সহজ হোক বা কঠিন আমি সেটার উত্তর লিখতে পারব, সময় থাকতেই আমার লেখা শেষ হবে এবং আমার ফলাফলও ভালো হবে।
৪. এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম অনেক জরুরি। দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম মনকে সতেজ রাখবে। পরবর্তীতে এটি মানসিক চাপ কমাতেও সহায়তা করবে।
৫. পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের জীবনের অনেক কিছুই নির্ধারণ করা হয়। এ কারনে এই বিষয়টি নিয়ে মানসিক জটিলতার সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। খুব বেশি মানসিক চাপ অনুভব করলে শিক্ষার্থীদের উচিত মা-বাবা অথবা আপনজন কারও সঙ্গে নিজের মনের কথা খুলে বলা। প্রয়োজনে মনের বন্ধুকে মন খুলে তার মনের কথা জানাতেও পারে। শিক্ষার্থীদের মনের যত্ন নিতে ও তাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে মনের বন্ধু সদা প্রস্তুত। আমরা তাদের ইতিবাচক বন্ধু হয়ে সব সময় তাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং সব সময় থাকব। আসন্ন পরীক্ষার জন্য মনের বন্ধুর পক্ষ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভকামনা।
ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিতএই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
Mental stress is our emotional and psychological response when we feel overwhelmed, pressured, or threatened by challenging situations.
University life is often portrayed as a vibrant and exciting period filled with new experiences and lifelong friendships. However, for many introverted students, this idealized image can feel daunting
ঘটনা ১ঃ দীর্ঘদিন সেমিস্টার ব্রেকের পর আবার ক্লাস শুরু হবে শায়লার (ছদ্মনাম)। ছুটিটা বেশ আনন্দেই কাটিয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো ছুটির শেষ দিকে এসে। এক প্রবল অস্থিরতা পেয়ে বসলো তাকে। বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লা
দুশ্চিন্তা তো কম-বেশি আমরা সবাই করি! তবে কোনো একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা বা উদ্বেগ স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উদ্বেগ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং কারো দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘট