ইকবাল হোসেন আরমান
সম্প্রতি, ভারতীয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট প্রকাশ করেছেন, তিনি অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার (Attention Deficit Disorder)-এ ভুগছেন। সংক্ষেপে একে এডিডি ও বলা হয়। এটি এমন একটি মানসিক অবস্থা যেখানে মানুষের মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, ফলে কাজকর্ম ও দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। এই সফল অভিনেত্রী জীবনে অনেক কাজেই মনোযোগ দিতে পারছিলেন না অনেক্ষন ধরে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বা শারীরিক যে কোনো রোগ জীবনের যেকোনো পর্যায়ে, যেকোনো মানুষের হতে পারে। এটি কোনো দোষ বা দুর্বলতা নয়, বরং সঠিক সচেতনতা ও চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মানসিক ও শারীরিক রোগ কারো নাম দেখেনা
মানসিক রোগ নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা থাকে, যা মানুষকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত করে। অনেকেই মনে করেন, মানসিক সমস্যা থাকলে সেটা দুর্বলতার চিহ্ন বা সামাজিক ভাবে অসম্মানজনক। কিন্তু আলিয়ার মতো সফল ব্যক্তিত্বরা যখন তাদের সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন, তখন সেই ভুল ধারণাগুলি ভাঙতে শুরু করে। এই সমস্যাগুলি সামাজিক অবস্থান, অর্থ বা খ্যাতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
আলিয়া ভাটের অভিজ্ঞতা:
আলিয়া ভাট তার অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজঅর্ডারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে জানান, কাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা ছিল খুবই কঠিন। এডিডি এর কারণে তিনি একটানা কাজ করতে পারতেন না, অল্প সময়েই মনোযোগ হারাতেন। যদিও তিনি একজন অভিনেত্রী হিসেবে অত্যন্ত পরিশ্রমী ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবুও এই মানসিক সমস্যা তার পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু আলিয়া এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য সচেতন প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি নিয়মিত মেডিটেশন, মনোযোগ বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ এবং পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জীবনে একটি ভারসাম্য তৈরি করেছেন। তাঁর এই লড়াই প্রমাণ করে যে সঠিক চিকিৎসা ও মানসিক সমর্থন পেলে এমন সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার (ADD) কী?
এডিডি হলো এমন একটি স্নায়ুবিক অবস্থা, যা মূলত শিশুদের মধ্যে দেখা গেলেও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও থাকে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটানা কোনো কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না, সহজেই তাদের মনোযোগ বিঘ্নিত হয় এবং তারা অবিন্যস্ত বা অগোছালোভাবে চিন্তা করেন। ফলে তাদের জীবনে যেমন ব্যক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তেমনি কর্মক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
এডিডি এর বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে:
সচেতনতা ও সেবা গ্রহণের গুরুত্ব:
যে কেউ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে তাকে সঠিকভাবে সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করা জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া, থেরাপি বা প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণ করা এসব সমস্যার সমাধান করতে পারে। সমাজে এ বিষয়ে সঠিক সচেতনতা থাকলে মানুষ আরও আগ্রহী হবে সেবা গ্রহণে এবং নিজেকে সুস্থ করার পথে এগিয়ে যেতে। যারা এডিডি তে ভুগছেন, তাদের জন্য প্রাথমিক কিছু কৌশল সহায়তা করতে পারে।
সমাজে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা:
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
শিশুদের সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে সময় না কাটানোই ভালো। ধীর এবং শান্ত এই দুইভাবে সময় কাটান তাঁদের সঙ্গে। শিশুরা আয়নার মতো, তারা যা দেখে তাই শেখে। আপনার আচরণকে অনুকরণ করে।
জীবনে সব সময় আনন্দ থাকে না। ভালো এবং খারাপ দুটি অনুভূতি নিয়েই আমাদের জীবন। অনেক কঠিন সময়ে আমাদের অস্থির লাগে। কিছুই যেন সে সময় ভালো লাগেনা। মনে হয় সবকিছু ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাই। আপনারও কি এমন মনে হয়?
Though the era has moved on, the society of our country is still dark. I am saying this because almost all families in our country think “What is mental health again? What is depression?
আমাদের মধ্যে অনেকের বাড়িতেই পোষা বিড়াল, কুকুর কিংবা পাখি আছে। বাড়ির এই সদস্যটি অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের মন ভালো রাখে। অনেক সময় সেটা আমরা খেয়ালও করি না।