সোনিয়া আক্তার পুষ্প
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনে যোগ হয় নতুন নতুন মানুষ। অনেকের সঙ্গে গড়ে ওঠে পরিচয় বা বন্ধুত্ব। এই সম্পর্ক থেকে তৈরি হয় ভালো লাগা, ভালোবাসা। সম্পর্ক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একে অপরের প্রতি পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, ভালোবাসা, বিশ্বাস, সম্মান করা বা থাকা খুব স্বাভাবিক। তবে অনেকেই সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। হিমশিম খেয়ে যান নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে। আবার, দুজনের মাঝে কিছু অপ্রত্যাশিত চাওয়া, চিন্তা, আচরণ সম্পর্কে নিয়ে আসতে পারে তিক্ততা। যেমন: সঙ্গী ছাড়া যেকোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত একা নিতে না পারা, পছন্দের মানুষের অনুমতি বা উৎসাহ না পেলে তারা এটাকে ভুল মনে করে। যে কোনো কাজ একা করতে গেলে দ্বিধায় ভোগেন। সম্পর্কের ভুলগুলো নিজের ওপর নিয়ে আসেন, দোষারোপ করতে থাকেন। এটা নিয়ে এক ধরনের অপরাধবোধ তৈরি করে ফেলেন নিজের মধ্যে। বিষয়গুলো প্রায় প্রতিদিনই যখন হতে থাকে কারও জীবনে ব্যক্তি তার নিজস্বতা হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
১. সঙ্গীর কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও না বলতে পারেন না
২.নিজের ওপর একদমই আত্মবিশ্বাস থাকে না
৩. কোনোভাবেই একা থাকতে না চাওয়া
৪.সঙ্গী দূরে থাকলে নেতিবাচক চিন্তা করা, হারানোর ভয়ে ভীত থাকেন
৫.সন্দেহবাতিক হলে অস্থির হয়ে পড়া
৬.সঙ্গীর প্রশংসা না পেলে নিজেকে অযোগ্য মনে করা
৭. নিজের জীবনের সব আনন্দ, খুশি, ভালো থাকা সঙ্গীর ওপর নির্ভর করে
একজন ব্যক্তির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গীর প্রতি ব্যক্তিত্বের এই বৈশিষ্ট্যগুলো বলে দেয় তিনি আসলে আবেগীয়ভাবে তার সঙ্গীর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। একটা সময় ব্যক্তি মানসিক নানা জটিলতায় ভুগতে শুরু করেন।
সম্পর্কে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে আমরা কী করতে পারি?
১। নিজেকে বুঝতে শেখা
সঙ্গীর আবেগ বোঝার পাশাপাশি নিজের আবেগ, অনুভূতিগুলোকেও বুঝতে হবে। নিজের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা। নিজের ভালো গুণগুলোকে খুঁজে বের করে, দুর্বল দিকগুলো নিয়ে কাজ করলে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে ।
২। নিজেকে ভালোবাসুন
সঙ্গীকে ভালোবাসার পাশাপাশি নিজেকেও ভালোবাসুন। যে কাজগুলো করতে পছন্দ করেন, সেগুলোর প্রশংসা করুন। নিজের ভালো লাগার কাজ করতে পারলে মানসিকভাবেও প্রশান্তি অনুভব করবেন। এতে নিজেকে একা মনে হবে না।
৩। নিজেকে সময় দিন
সঙ্গীকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজের জন্য আলাদা কিছু সময় রাখুন। নিজের সঙ্গে সময় কাটান। নিজের পছন্দের কাজ করুন। ব্যক্তিগত কাজকে প্রাধান্য দিন। নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝতে শিখুন। যেমন: কোথায় আছি, কোথায় যেতে চাই। নিজের কোনো আচরণের পরিবর্তন করতে চাই সেটা নিয়ে কাজ করুন। মাঝে মাঝে সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে একটু দূরত্ব বজায় রাখলে দুজনের বিষয়গুলো আরেকটু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এতে সম্পর্কে চাপ অনুভূত হবে না।
উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে নিজের ওপর কাজ না করতে পারলে অবশ্যই একজন পেশাদার ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় মনের বন্ধু আছে আপনার পাশে।
ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিতএই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
একটি রোমান্টিক সম্পর্কে দুজন বুনতে থাকেন নানা স্বপ্ন। সঙ্গে ভালো থাকার ফিলোসফি। প্রেমের সম্পর্কের শুরুটা থাকে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো। জীবনটা মনে হয় ভীষণ রকম রোমাঞ্চকর। অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ। ভিন্ন ভি
বন্ধুত্ব ও ভালবাসায় অনেক তফাৎ আছে, কিন্তু ঝট্ করিয়া সে তফাৎ ধরা যায় না। বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালবাসা পোষাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাঁটুর নীচ
ইদানীং সারাক্ষণ অবসাদগ্রস্থ লাগে। লো মুড মনে হয়। কোন কিছু করতে মন চায় না। ক্লান্তি, আলস্য, অবসাদ, ঘুম ঘুম ভাব যেন লেগেই আছে। মনোযোগ রাখা যাচ্ছে না কোন কিছুতে। আমরা জানি, এগুলো ডিপ্রেশন বা বিষন্নতার লক
আমরা প্রায়ই স্বপ্ন দেখি। এই ‘স্বপ্ন’ বিষয়টা কী? কেন স্বপ্ন দেখি আমরা? এমন অনেক প্রশ্নই আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে পারে। স্বপ্ন হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের মনে আসা ছবি, কথা, শব্দ, চিন্তা এবং আবেগ-অনুভবের