আব্দুল লতিব সম্রাট
সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সেটা ধরে রাখা—দুটোই কঠিন কাজ। প্রচুর সময়, প্রচেষ্টা এবং ভালোবাসা বিনিয়োগ করতে হয়। তবে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক যতই সুন্দর হোক না কেন, কিছু সমস্যা এবং বাধা আসবেই। কিছু কৌশল গ্রহণ ও ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করলে সম্পর্ককে আরও মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব। আজকে তেমনই কিছু টিপস আলোচনা করব
যোগাযোগের উন্নতি
একটি সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো ভালো যোগাযোগ। সঙ্গীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা এবং নিজের অনুভূতিগুলি সঠিকভাবে প্রকাশ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কে যখন কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তখন তা নিয়ে কথা বলা এবং দুজন একসঙ্গে বসে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করলে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায়।
বিশ্বাস ও সম্মান
বিশ্বাস এবং সম্মান হলো একটি সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উপকরণ। জীবনসঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং তার ব্যক্তিত্ব, মতামত ও সিদ্ধান্তকে সম্মান করা সুন্দর সম্পর্কের জন্য অপরিহার্য। একে অপরের প্রতি আস্থা রাখলে সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
সময় কাটানো
সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য একে অপরের সঙ্গে ভালো সময় (quality time) কাটানো গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে সময় কাটানো, নতুন কিছু উপভোগ করা এবং সঙ্গীর পছন্দের কোনো কাজ করা সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
সমঝোতা এবং সহযোগিতা
কোনো সম্পর্কেই দুজন মানুষ সব সময় একমত হবে না, এটি আশা করাও যাবে না। তাই একে অপরকে ছাড় দেওয়া এবং সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করা স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের জন্য অপরিহার্য। কোনো ইস্যুতে একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করা এবং প্রয়োজনে আপস করা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে।
সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণা
একজন ভালো পার্টনার সব সময় তার সেই মানুষটিকে সমর্থন করেন এবং অনুপ্রেরণা দেন। একে অপরের স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করলে সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
ব্যক্তিগত সময় ও স্বাধীনতা
কোনো একটি সম্পর্কের মাঝে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলা ঠিক নয়। উভয়ের ব্যক্তিগত সময় এবং স্বাধীনতা বজায় রাখা সম্পর্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর স্বাধীনতাকে সম্মান করা এবং নিজের মতো করে কিছুটা সময় কাটাতে পারা একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য।
সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা
যে কোনো সম্পর্কেই সমস্যা আসতে পারে, কিন্তু সেগুলি কীভাবে সমাধান করা হয় সেটাই মূল বিষয়। সম্পর্কের
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
একটি রোমান্টিক সম্পর্কে দুজন বুনতে থাকেন নানা স্বপ্ন। সঙ্গে ভালো থাকার ফিলোসফি। প্রেমের সম্পর্কের শুরুটা থাকে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো। জীবনটা মনে হয় ভীষণ রকম রোমাঞ্চকর। অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ। ভিন্ন ভি
বন্ধুত্ব ও ভালবাসায় অনেক তফাৎ আছে, কিন্তু ঝট্ করিয়া সে তফাৎ ধরা যায় না। বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালবাসা পোষাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাঁটুর নীচ
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনে যোগ হয় নতুন নতুন মানুষ। অনেকের সঙ্গে গড়ে ওঠে পরিচয় বা বন্ধুত্ব। এই সম্পর্ক থেকে তৈরি হয় ভালো লাগা, ভালোবাসা। সম্পর্ক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একে অপরের প্রতি পারস্পরি
কথায় আছে “পাছে লোকে কিছু বলে” অর্থাৎ আমাদের চারপাশের মানুষ আমাদের নিয়ে কী বলবে, কী ভাববে এসব চিন্তায় আমরা দিনভর মগ্ন থাকি। ‘পরীক্ষায় আমাকে ভালো রেজাল্ট করতেই হবে না হলে মানুষ আমাকে অবজ্ঞা করবে’, ‘এই ক