মোঃ খালিদ আহমেদ সাইফউল্লাহ সা'দ
বন্ধু বা কাছের কারও মন খারাপ হলে আমরা অনেকেই চেষ্টা করি সেটার প্রতিকার করতে। বন্ধুর মন হালকা করতে তার কথা শোনা, আশ্বস্ত করা কিংবা তাকে হাসানোর চেষ্টা চলতে থাকে। উদ্দেশ্য থাকে যে কোনো সমস্যাই হোক সেটার সমাধান করতে হবে। অনেকাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধুর মন ভালো করতে পারলেও কখনো কখনো উল্টো ফল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কখনো বা বন্ধুর মন ভালো হলেও আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। কেন এমন হয়?
বন্ধু বা নিজের পাশের কাউকে মানসিকভাবে সমর্থন দেওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্বও বটে। তবে এ কাজটি করার আগে নিজের জন্যও কিছু করণীয় বা বর্জনীয় বিষয় থাকে। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকলে খুব সহজেই আমরা কারও মনের বন্ধু হয়ে সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমন কিছু বিষয়।
"বন্ধুর মন খারাপের সমাধান সব সময় আমি করতে পারব,
এই ভাবনা থেকেও আমাদের সরে আসতে হবে।"
নিজেকে তৈরি করা
কারওর মনের পাশে দাঁড়াতে হলে সবার আগে নিজেকে তৈরি করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জ্ঞানচর্চার অভ্যাস করতে হবে। বন্ধুর কথা শোনার আগে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি শোনার জন্য নিজেকে শক্ত রাখতে হবে। তার কোন কথার প্রতি উত্তরে কী ধরনের আচরণ করা প্রয়োজন সে সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে, কোনো জোরাজুরি করা যাবে না। নিজেকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন বন্ধু নিজেই আমাকে বিশ্বস্ত ভেবে নিজের কথা বলতে পারে।
বক্তা না হয়ে শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করা
প্রায় বেশির ভাগ সময়েই একটি ভুল পদ্ধতির চর্চা করি আমরা। কেউ কিছু বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে নিজে কথা বলা শুরু করি। অনেক সময় এমন কথাও বলে ফেলি যা তাকে আরও কষ্ট দেয়। এ বিষয়গুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে সে বক্তা, আমি শ্রোতা। কোনোভাবেই তার কথার অবমূল্যায়ন করা যাবে না, কারওর সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।
নিরাপদ দূরত্ব রাখা
অনেক সময় দেখা যায় যার মন ভালো করতে চাচ্ছি তার মন ভালো হলেও নিজের মন খারাপ হয়ে যায়। এর অন্যতম কারণ সমর্থন দেওয়ার সময় নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে না চলা। আমরা যখনই কারওর সঙ্গে কথা বলব, সব সময়ই মনে রাখব, উনি যতক্ষণ কথা বলবেন ওনার বিষয়ের সঙ্গে ঠিক ততক্ষণই যুক্ত থাকতে হবে। কোনোভাবেই এর প্রভাব নিজের ব্যক্তিজীবনে নিয়ে আসা যাবে না। কিংবা এমন কিছু প্রত্যাশা করব না যা পেশাগত সীমানার বাইরে চলে যাবে। নিজের চারপাশে একটি গণ্ডি রাখব এবং নিশ্চিত করব সেখানে অন্য কথাগুলোর অনুপ্রবেশ ঘটবে না।
আমি সব পারব না, এটি মেনে নেওয়া
বন্ধুর মন খারাপের সমাধান সব সময় আমি করতে পারব, এই ভাবনা থেকেও আমাদের সরে আসতে হবে। যেহেতু আমরা কেউই পেশাগতভাবে অভিজ্ঞ নই, সেহেতু আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকবেই। যখনই বুঝতে পারব বন্ধুর সমস্যাটি নিয়ে আমি কাজ করতে অপ্রস্তুত, বন্ধুকে পেশাগত কারও সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। ছোট সমস্যা হোক বা বড়, আমার সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে, এটা মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। এ নিয়ে অনুশোচনা করা যাবে না।
নিজের মনের যত্ন নেওয়া
অন্যের সেবা করার আগে অবশ্যই নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত নিজের মনের যত্ন নিতে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম ইত্যাদির চর্চা করা যেতে পারে। যদি কখনো নিজের মন ভালো না থাকে সে ক্ষেত্রে অন্য কারওর কথা না শুনতে চাওয়াই উত্তম। নিজের খেয়াল না রাখলে বাকিদের ভালো রাখব কীভাবে!
উপরিউক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও মনের বন্ধু হতে হলে আরও কিছু বিষয়েও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, যেমন বন্ধু তথ্য গোপন রাখা, সব সময় সহমর্মী হয়ে প্রতি উত্তর করা, বন্ধুর চিন্তার সঙ্গে একমত না হলেও কথা বলার সময় নিরপেক্ষ জায়গায় থাকা ইত্যাদি। এ ছাড়া অযাচিত শব্দচয়ন করা, গায়ে হাত দেওয়া, তাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের কোনো বিষয়কে অবজ্ঞা করা প্রভৃতি বিষয়গুলো যেন না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিতএই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
Mental stress is our emotional and psychological response when we feel overwhelmed, pressured, or threatened by challenging situations.
Though the era has moved on, the society of our country is still dark. I am saying this because almost all families in our country think “What is mental health again? What is depression?
In the bustling streets of Bangladesh, amidst the vibrant culture and rich traditions, lies a silent struggle that often goes unnoticed—the mental health challenges faced by Bangladeshi men. While the
নারীদের গোটা জীবন আসলে হরমোনের ওঠানামা দিয়ে ভীষণ প্রভাবিত। সেই কিশোরীকাল থেকে মধ্যবয়স অবধি, মাঝে প্রেগনেন্সি, সন্তান প্রসব, ব্রেস্ট ফিডিং -- নানা সময়ে, নানা রকমের হরমোনের ওঠানামা নারীর শরীর ও মনকে নান