Student packages and discounts ongoing!

আপনি কি নিজের চেহারা বা শারীরিক গঠন নিয়ে হীনমন‍্যতায় ভোগেন?

সোনিয়া আক্তার পুষ্প

INSECURE DISORDER MENTAL HEALTH

আপনার আশপাশে কখনো কি এমন কাউকে খেয়াল করেছেন যে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে ভীষণ খুঁতখুঁতে। নাকটা কি বেশি মোটা না চোখা, গায়ের রং কি কালচে, চেহারা আরেকটু ভালো হলে হতো- সারা দিন এসব নিয়েই চিন্তায় থাকেন। এ ছাড়া মুখে একটা ব্রণ হলে বারবার আয়নার সামনে যাওয়া, অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে থাকা, আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করা তাকে দেখতে খারাপ লাগছে কি না, মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে যখন এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন, তখন এটাকে মানসিক রোগ হিসেবেই দেখতে হবে। একজন মানুষের মধ্যে সারাক্ষণ নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে অতিরিক্ত অলীক ভাবনা এক ধরনের মানসিক রোগ যা বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার বা আপাত দেহরূপবিকার ব্যাধি হিসেবে পরিচিত। 

 

ছবিঃ চেহারা বা শারীরিক গঠন নিয়ে হীনমন‍্যতা,          সোর্সঃ ফ্রিপিক

 

 

 

শরীর নিয়ে বুলিংয়ের শিকার হলে, মানসিক কোনো জটিলতা থাকলে, ব্যক্তিত্বের কোনো ত্রুটি থাকলে, অতিরিক্ত পরিপূর্ণতাবাদী হলে এমন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকে এটা বংশগতভাবেও পেয়ে থাকেন। অনেকেই আবার এটাকে সৌন্দর্যচর্চা, নিজেকে ভালোবাসার বহি:প্রকাশ হিসেবে দেখেন। স্বাভাবিক মনে করেন। কিন্তু এটা স্বাভাবিক বিষয় না। নিজের শরীরের ওপর অতিরিক্ত চিন্তিত থাকার ফলে একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক ফলাফল লক্ষ্য করা যায়। যেমন: কোনো কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, হতাশায় ভোগা, নিজেকে আড়াল করে রাখা, নিজের গুনগুলোকে কাজে লাগাতে না পারা, আত্মসমালোচনা করা, নিজের ক্ষতি করতে চাওয়া প্রভৃতি। এই রোগ নিয়ে সচেতন হওয়া ও চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন এ কারণেই। 

 

 

সচেতনতা বাড়াবেন যেভাবে

 


১.  মনোবিজ্ঞানীর সহায়তা নিতে হবে। নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশন নেওয়াও দরকার। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক চিকিৎসা বা কাউন্সেলিং একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। সপ্তাহে ১টি করে প্রায় ১২টা সেশন নিতে হতে পারে। 


২.  পারিবারিকভাবেও থেরাপি বা চিকিৎসা নেওয়া লাগতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশে থাকা পরিবারের সদস্যদেরও কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয়। পরিবারের সদস্যদের এটা বোঝাতে হবে যে এটা একেবারেই এড়িয়ে যাওয়ার মতো মানসিক সমস্যা নয়। সুন্দর দেখানোর জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করার মতো বিষয়কে প্রশ্রয় না দেওয়াই ভালো। এই বিষয় সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের সচেতন করা প্রয়োজন। সর্বোপরি রোগীর আশপাশে থাকা মানুষদের এই রোগ সম্পর্কে জানানো এবং রোগীর সঙ্গে তাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত সেটাও বোঝানো দরকার। 


৩.  নিজের প্রতি সহমর্মী হতে হবে 


৪.  বুলিং প্রতিহত করতে হবে


৫.  নিজের সঙ্গে ইতিবাচক কথা বলা বা ভালো গুনগুলোর প্রশংসা করা প্রয়োজন


৬.  নিজের নেতিবাচক চিন্তার পরিবর্তন করা। সৌন্দর্য নিয়ে যে বদ্ধমূল ধারণা আছে তার পরিবর্তন করা দরকার।

ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিত

এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।

মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।

📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা

You might also like this