Our prices have been updated. Please check the latest rates before booking.

প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা অনুশীলনের সহজ উপায়

জুনায়রাহ নায়াব আনাম

SELF CARE GRATEFULNESS MENTAL HEALTH HABITS

আজকের ব্যস্ত জীবনে কাজ, দুশ্চিন্তা, আর সময়ের চাপের মাঝে হারিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। অনেকের মনেপ্রশ্ন জাগে – “সবকিছু এত কঠিন কেন?”, “সুখী থাকা এত কষ্টকর কেন?” কৃতজ্ঞতার অনুশীলন হতে পারে এই সমস্যার সহজ সমাধান।

কৃতজ্ঞতা কী?

কৃতজ্ঞতা মানে হলো, যা কিছু আমাদের আছে তার মূল্য বুঝতে শেখা। শুধু “ধন্যবাদ” বলা নয়, বরং পরিবার, বন্ধু, বা দৈনন্দিন ছোট সুখগুলোকে গুরুত্ব দেওয়াই কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা আমাদের শেখায়, সুখ কোনো দূরের জিনিস নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে।

 

2,212 Powerful Indian Woman Stock Video Footage - 4K and HD Video Clips |  Shutterstock
ছবিঃ কৃতজ্ঞতা                                       সোর্সঃ iStock

 

কেন কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করবেন?

গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত কৃতজ্ঞতা চর্চা মেজাজ ভালো রাখে, সম্পর্ককে মজবুত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি আমাদের ভেতরের ইতিবাচক অনুভূতি বাড়ায়, ফলে নেতিবাচক চিন্তা দূর হয়। যারা কৃতজ্ঞতার অভ্যাস গড়ে তোলে, তারা সাধারণত জীবনে বেশি সন্তুষ্ট থাকে এবং হতাশা বা উদ্বেগে কম ভোগে।

 

কীভাবে কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করবেন?

 

প্রতিদিন এক–দুটি মুহূর্ত লিখে রাখুন যা আপনাকে খুশি করেছে। সকাল হোক বা রাত, একটি ছোট জার্নাল আমাদের মনে করিয়ে দেয় জীবনে কৃতজ্ঞ হওয়ার কত কারণ আছে।

 

কারও দরজা খুলে দেওয়া বা খোঁজ নেওয়ার মতো ছোট ছোট বিষয়েও কৃতজ্ঞ হোন। চারপাশের মানুষদের ধন্যবাদ জানান—এতে তাদের দিন যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি আপনার মনও ভালো থাকবে।

 

একটু ধীরে চলুন এবং চারপাশের ছোট জিনিসগুলো খেয়াল করুন—নীল আকাশ, পরিবারের সাথে আড্ডা, খাবারের গন্ধ বা প্রিয় অনুষ্ঠানের আনন্দ। এই মুহূর্তগুলিকে উপভোগ করাই কৃতজ্ঞতার আসল চাবিকাঠি।

 

ব্যস্ত জীবনে কৃতজ্ঞতা ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই ফোনে, জার্নালে বা ছোট স্টিকি নোটে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

 

কৃতজ্ঞতা কেবল একটি অনুভূতি নয়—এটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে পারে। ছোট ছোট অভ্যাস আমাদের মনোযোগকে অভাব থেকে সরিয়ে এনে, যা ইতিমধ্যেই আছে তার দিকে ঘুরিয়ে দেয়। কৃতজ্ঞতার সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে এর সরলতায়। তাই একটি ছোট পদক্ষেপ দিয়ে শুরু করুন, সেটিকে ধরে রাখুন, আর দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার দৃষ্টি বদলে যাচ্ছে।

ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিত

এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।

মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।

📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা

You might also like this