Our prices have been updated. Please check the latest rates before booking.

বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে

জুনায়রাহ নায়াব আনাম

FRIENDSHIP SHARING TALKING MENTAL HEALTH

আমাদের সবারই এমন কিছু দিন আসে, যখন জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের জন্য খুব ভারী মনে হয়। পড়াশোনার চাপ, ঘুমের অভাব, কিংবা চিন্তায় ডুবে থাকা, এমন পরিস্থিতি আমাদের মানসিকভাবে ক্লান্ত করে তোলে। ঠিক তখনই আমরা এমন কাউকে প্রয়োজন অনুভব করি, যার সঙ্গে আমাদের কথা বলা যায় – একজন বন্ধু।

 

কেন বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করা উপকারী?

আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধুরাই হতে পারে কঠিন সময়ে সেরা সহায়ক। আসলে, বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা মানেই যেন মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা মাথার ভেতরের ভারি চিন্তাগুলোর জন্য এক ধরণের তাত্ক্ষণিক মুক্তি। এটা যেন এক ছোট থেরাপির মতো, যেখানে “নিজেই সামলে নাও” বলা নিয়ে কোনো ভয় নেই। বন্ধুর এই আবেগীয় সহায়তা আমাদের মনকে শান্ত করে, একাকীত্ব কমায় এবং ভালো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সান্ত্বনা দেয়।

 

Indian Friends Images – Browse 96,078 Stock Photos, Vectors, and Video |  Adobe Stock
ক্যাপশন: বন্ধুর সাথে কথা বলা                              সোর্স: এডোব স্টক

 

বন্ধুর সঙ্গে নিজের ভাবনা ভাগ করে নেওয়া আমাদের আত্মসম্মানও বাড়ায়। যখন আমরা বুঝি যে আমাদের যত্ন নেওয়া মানুষরা আমাদের পাশে আছে, তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস ও নিজের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে। বন্ধুর ইতিবাচক মন্তব্য ও উৎসাহ আমাদের আত্মমূল্যবোধ তৈরি করতে সাহায্য করে।

চাপের মধ্যে থাকলে আমরা অনেক সময় অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখতে পারি না। বন্ধুর সঙ্গে কথা বললে নতুন ধারণা, নতুন দিক, বা অন্যভাবে ভাবার সুযোগ তৈরি হয়। এতে আমরা সমস্যাগুলোকে নতুনভাবে দেখতে ও মোকাবিলা করতে পারি, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

 

কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে কথা শুরু করবেন?

মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথা বলা সহজ নয়। তবে নিচের কিছু উপায়ে আপনি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন: 

 

আরামদায়ক পরিবেশ বেছে নিন

এমন জায়গায় কথা বলুন যেখানে আপনি ও আপনার বন্ধু দুজনেই স্বস্তি বোধ করেন। এটি হতে পারে আপনার বাড়ি, প্রিয় কোনো ক্যাফে, বা যেকোনো শান্ত পরিবেশ।

 

আগে থেকে আপনার চিন্তাগুলো লিখে নিন

মনে অনেক ভাবনা ঘুরতে থাকলে কথায় প্রকাশ করা কঠিন হয়ে যায়। তাই যা বলতে চান, আগে থেকে কাগজে লিখে রাখুন। এতে আপনার চিন্তা গুছিয়ে বলা সহজ হবে।



বন্ধুর কাছ থেকে কেমন সহায়তা চান, তা বলুন

প্রতিটি পরিস্থিতিতে সহায়তার ধরন আলাদা হয়। বন্ধুকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন, কোনভাবে তারা আপনাকে সাহায্য করলে আপনি শান্তি পাবেন। এতে ভুল বোঝাবুঝি কমে এবং বন্ধুরাও বুঝতে পারে আপনি আসলে কী ধরনের সহায়তা চান।

 

সত্যবাদী হোন

সব কিছু ঠিক নেই—এটা স্বীকার করা সুস্থতার প্রথম ধাপ। নিজের সঙ্গে এবং বন্ধুর সঙ্গে সৎ থাকুন। আপনি কেমন অনুভব করছেন বা কেন এমন লাগছে, তা খোলামেলা বলুন। সব প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে না-ও থাকতে পারে, তাতে সমস্যা নেই। বন্ধুর সঙ্গে সৎভাবে কথা বললে তারা আপনার আবেগ বুঝতে পারে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারে।

 

কখন পেশাদার সহায়তা নেবেন?

বন্ধুর ভালোবাসা ও সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু ক্ষেত্রে পেশাদার সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। বুঝে নেওয়া জরুরি যে কখন আপনার পেশাদার মানসিক সহায়তা দরকার, যাতে আপনি যথাযথ ও কার্যকর সাহায্য পান।

 

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা

মনের বন্ধু: +880 17766-32344 (২৪ ঘণ্টা সেবা)
৯৯৯: জাতীয় জরুরি হেল্পলাইন

 

শেষ পর্যন্ত, বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা শুধুই কিছু কথা বিনিময় নয়—এটা একে অপরকে দেখা, শোনা ও বোঝার অনুভূতি। হালকা কোনো আলাপ হোক বা গভীর আলোচনা, মন খুলে কথা বলা আমাদের মানসিক ভার অনেকটাই কমিয়ে দেয় এবং মনে করিয়ে দেয়—আমরা একা নই। একটি সহজ কথোপকথনের মধ্যেই অনেক সময় সুস্থতার শক্তি লুকিয়ে থাকে।

ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিত

এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।

মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।

📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা

You might also like this