নাবিলা আজাদ
কোনো না কোনো ভাবে প্রতি মুহূর্তেই আমরা যত্ন পেয়ে থাকি। মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন তো আছেই। আবার এমন কিছু মানুষের যত্নে ভালো থাকি যারা পেশাগত কারণে সরাসরি যত্ন বা সেবা দানের সঙ্গে জড়িত, যেমন - নার্স, ব্রাদার্স, ডে কেয়ার কর্মী ইত্যাদি। এই মানুষগুলোর পেশাগত কাজই হলো অন্যদের যত্ন নেওয়া ও দেখাশোনা করা।
অনেক সময় আমরা ধরেই নেই তারা আমাদের তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে সেবাযত্ন করে যাবেন, কারণ এটা তাদের পেশা। কিন্তু দিন শেষে সেই মানুষটাও যে একজন মানুষ, নানা রকম চাপ, অসুবিধা তার জীবনেও যে থাকতে পারে সেটা আমরা ভুলে যাই।
তারও একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে যেখানে তার পরিবার আছে, বন্ধু আছে, আত্মীয়স্বজন আছে। সব থেকে জরুরি যে সেই মানুষটার কিছু ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ ও চাওয়া পাওয়া আছে। সেই মানুষটার খাওয়া, ঘুম, বিশ্রামের ঘাটতি বা ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো সমস্যা তার কাজের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
আমরা চাইলেই কিন্তু কেয়ার গিভারের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারি। তাদের অসুবিধাগুলো বোঝার চেষ্টা করতে পারি। যেই মানুষগুলো আমাদের সেবা, যত্নের জন্য দায়বদ্ধ, তাদের যত্নটা আমরা নিশ্চিত করতে পারি। তাদের মাঝে মাঝে অবকাশ দেওয়া, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা জরুরি। তবে দুঃখের বিষয় আমরা অনেক সময় তাদের প্রতি আবেগহীন হয়ে পড়ি। আমাদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে রাগ, ক্ষোভ প্রকাশ করি। প্রশ্ন তুলি তাদের পেশার ওপর। আবার কিছু পারিপার্শ্বিক বিষয় সেবাদানকারীর মধ্যে তৈরি করতে পারে নানা রকম মানসিক অসুবিধা।
অনেক সময় সেবাদানকারীদের অসুবিধা বোঝার চেষ্টা করা হয় না। এতে করে তাদের পেশার প্রতি অসন্তুষ্টি তৈরি হয় এবং তারা হতাশ হয়ে পড়েন। এই হতাশা দীর্ঘদিন চলার ফলে তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যেকোনো সাধারণ মানুষের মতোই একজন সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিকে নানা রকম দায়িত্ব পালন করতে হয়। পারিবারিক, সামাজিক, ব্যক্তিগত দায়িত্বগুলোর পাশাপাশি তাদের কাজের জায়গায় কিছু মানুষকে ভালো রাখারও দায়িত্ব নিতে হয়। তবে বিশেষ করে যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষের সেবা করে থাকেন, সেই সব মানুষগুলোর শারীরিক অবস্থার অবনতি, মৃত্যু সেবাপ্রদানকারীর মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা তৈরি করতে পারে।
অসুস্থ এবং শিশুদের যারা যত্ন বা দেখাশোনা করেন তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় উদ্বেগ তৈরি হতে দেখা যায়। এর কারণ হতে পারে সেবাগ্রহীতার পরিবারের চাপ, প্রত্যাশা, নেতিবাচক মনোভাব।
একজন সেবা প্রদানকারীকে সব সময়ই তার সেবাগ্রহীতার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়। তাদের খাবার,ওষুধ, পোশাক পরিবর্তন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন অনেক কাজের প্রতি থাকতে হয় সচেতন। আবার সেবাপ্রদানকারীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক কাজগুলোও থাকে। সেবা বা যত্ন দানকারী যদি তার সময়কে ভালোভাবে পরিচালনা করতে অসুবিধাবোধ করে সে ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে তৈরি হতে পারে চাপ। এটি তাঁকে মানসিক ভাবে ভালো রাখে না।
যেসব ব্যক্তিরা হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কেয়ার গিভার হিসেবে নিয়োজিত আছেন তাদের প্রতিনিয়ত মানুষের কষ্ট, যন্ত্রণা, মৃত্যু দেখতে হয়। এই ঘটনাগুলো সেবাদানকারীর মধ্যে তৈরি করতে পারে ট্রমা। এই মানসিক অসুবিধাগুলো যদি সেবাপ্রদানকারীর মধ্যে থেকে থাকে তাহলে কাউন্সেলিং হতে পারে অন্যতম সমাধান। এ ক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে মনের বন্ধু। আমরা অনলাইন ও ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং দিয়ে থাকি হতাশা, চাপ, বিষণ্নতার মতো অসুবিধায়। তাই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সঙ্গে।
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
before you completely lose the ‘little you’ in the chaos of adulthood stress and responsibilities, go hold YOUR ‘SILLY FACE AND UNICORN’ ONE MORE TIME.
দৈনন্দিন জীবনে আমরা মানুষকে নানা রকমের উপহার দিয়ে থাকি। জন্মদিনে, পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের উপলক্ষ ধরে কিংবা কোনো উপলক্ষ ছাড়াই কাছের মানুষটিকে খুশি করার জন্য উপহার দিই আমরা। কিন্তু কখনো নিজেকে ক
All of your classmates have planned a trip for the upcoming weekend—how can you say no despite your hectic schedule? Or, if a colleague asks for help with a time-consuming task when you’re already ove
Now, here we are united over anger issues and being called a hothead. In this perhaps impossible—or I may say inevitable—situation, what could be our next step?