জাফিয়া তাসনিম
দৈনন্দিন জীবনে আমরা মানুষকে নানা রকমের উপহার দিয়ে থাকি। জন্মদিনে, পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের উপলক্ষ ধরে কিংবা কোনো উপলক্ষ ছাড়াই কাছের মানুষটিকে খুশি করার জন্য উপহার দিই আমরা। কিন্তু কখনো নিজেকে কোনো উপহার দিয়েছেন কি?
মনকে উৎফুল্ল রাখতে মাঝেমধ্যেই নিজেকে উপহার দেওয়া উচিত। আপনি নিজেকে কী ধরনের উপহার দিতে চান, সেটা আপনার মানসিকতাও তুলে ধরবে। বিষয়টি কিন্তু ইতিবাচক। ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী বদলে যায় উপহারের ধরন। যেমন ধরুন কেউ ঘড়ি পছন্দ করেন, কেউ হয়তো নতুন জামাকাপড় পছন্দ করেন। কারও পছন্দ ঘুরতে যাওয়া, আবার কেউ ভালোবাসেন খেতে। এই বিষয়গুলোই আপনি উপহার হিসেবে নিজেকে দিতে পারেন।
নিজেকে উপহার দেওয়ার গুরুত্ব রয়েছে। নিজেকে দেওয়া উপহার অনুপ্রেরণা দেয়। কিছু লক্ষ্য পূরণ করেও আপনি নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। এটি আপনার পরিশ্রম এবং পরবর্তী কাজের জন্য প্রেরণা জোগাবে। এ ছাড়া নিজেকে সবচেয়ে বড় যে উপহারটি দিতে পারেন, সেটি হলো নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া। এতে মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত করে গড়ে তুলতে পারবেন। জীবনের যেকোনো মোড়ে দাঁড়িয়ে জীবনের বাধাগুলো আপনি অতিক্রম করতে পারবেন। তাই মন ভালো রাখতে, নিজের মনের যত্ন নিতে, নিজেকে উপহার দিতে ভুলবেন না কিন্তু!
সুতরাং, মানুষকে উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নিজেকে উপহার দেওয়া শিখুন, যা আপনার মনোবল শক্ত করবে। নিজের লক্ষ্য পূরণে নতুন প্রেরণা জোগাবে। এ ছাড়া মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং সেবা নিয়ে নিজের মন ভালো রাখুন। কেননা, একজন ইতিবাচক বন্ধু হিসেবে মনের বন্ধু সব সময় আপনাকে একটি সুন্দর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা উপহার দিতে সব সময় প্রস্তুত। তাই আমাদের অভিজ্ঞ কাউন্সেলরদের পরামর্শ নিন, আপনার যেকোনো মানসিক সমস্যার সমাধান করতে তাঁরা আপনাদের মনের বন্ধু হিসেবে কাজ করে যাবে। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন এবং নিজেকে উপহার দিন সুন্দর একটি জীবন। মনের বন্ধুর পক্ষ থেকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
এই ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ‘ছুটি’ মানে মুক্তি, আনন্দ, বিশ্রাম! ছুটি শুনলেই মন ছুট লাগাতে চায় দূর তেপান্তরে! তবে অনেক সময়ই দেখা যায় ছুটির দিনেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে দাওয়াতে, আপ্যায়নে, সামাজিকতায় আর আতিথেয়তায়
এ সমাজটা বিভিন্ন কাজের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। আপনি প্রতিদিন কাজ করছেন নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য। কিন্তু কোন কাজটা আপনার জন্য, আপনি কোন কাজটা ভালো পারবেন, তা বের করাটা জরুরি। ধরুন আপনি একজন শি
মানুষ সব সময়ই নিজেকে জানতে চেয়েছে, খুঁজতে চেয়েছে। নিজেকে খুঁজে পেতে কখনো প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়েছে, কখনো নিজেকে আড়ালে রেখেছে। এমন একটি মাধ্যম হলো যোগব্যায়াম বা ইয়োগা। ইয়োগা মানুষের শরীর ও মস্তিষ্কের
আমি পারি, আমি পারব। এই লাইন দুটো শুধু যে নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করে তা নয়। কোনো কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব এবং নিষ্ঠাও তুলে ধরে। যে এই লাইন দুটোকে নিজের জীবনে ধারণ করবে কর্মক্ষমতা এবং সফলতা অবশ্যই