রনতী চক্রবর্ত্তী
কী করবেন যখন নিজের ক্ষতি করতে ইচ্ছে হয়? ছবিঃ ফ্রি পিক
আমাদের জীবনের চলার পথ র্যাম্পে হাঁটার পথের মতো মসৃণ হয় না। অর্থাৎ আমরা সব সময় মসৃণ পথ পাই না, আবার সব জুতা পরে সব রাস্তায় হাঁটাও যায় না। অমসৃণ, কর্দমাক্ত ও অসমতল পথ হলে অনেক সময় জুতা হাতে করেও হাঁটতে হয়। আমাদের মনের নদীতে কখনো জোয়ার আসে, আবার কখনো ভাঁটা পরে। মনের সকল অনুভূতিগুলোর ওঠানামার সাথে তাল মেলাতে মেলাতে আমরা কেউ কেউ অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে জীবনকে সামনে এগিয়ে নিতে পারি না। বারবার শুধু মনে হতে থাকে আমিই কেন! আমার সাথেই কেন এমন হচ্ছে? ফলে মনে হতে থাকে আমার জন্য আর কোনো পথ খোলা নেই, মৃত্যুই একমাত্র উপায়। মরে গেলেই সব সমস্যার সমাধান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বজুড়ে বছরে সাত লাখের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন। ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ সর্বোচ্চ কারণ আত্মহত্যা। আত্মহত্যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। যে কারণই হোক না কেন, আত্মহত্যার আগে ব্যক্তির আচরণে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
আমরা যদি আমার কাছের মানুষের মধ্যে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন দেখি; যেমন:
এসব ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি। আমরা কাছের মানুষগুলোই শুধু এই পরিবর্তনগুলো খেয়াল করতে পারি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় আমরা এই লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাই বা পাত্তা দিই না। হয়তো মনে করি এগুলো মনোযোগ আকর্ষণের জন্য করা হচ্ছে, বা ভাবি যে বারবার বলে সে আত্মহত্যা করে না। এতে অনেক দেরি হয়ে যায়। যিনি আত্মহত্যা করতে চান তিনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য তার দিক থেকে নানাভাবে আমাদের জানানোর বা বোঝানোর চেষ্টা করে এবং শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যান।
অধিকাংশ মানুষ, যাঁরা আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেন; তারা সত্যিকার অর্থে মরে যেতে চান না। তাঁরা তাঁদের জীবনে উদ্ভুত অসহনীয় কঠিন পরিস্থিতি, লজ্জা, ভয়, যন্ত্রণা, কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চান। একজন মানুষের আত্মহত্যার মধ্যে দিয়েই প্রক্রিয়াটা শেষ হয় না, ব্যক্তির সাথে তার পরিবার, সমাজ, দেশ জড়িত থাকে। একেক ব্যক্তি একেক রকম এবং প্রত্যেকেরই নিজস্ব বিচার, বুদ্ধি, বিবেচনা, সৃজনশীল চিন্তা, মননশীলতা রয়েছে। আমাদের চলার পথের এক দরজা বন্ধ হলে অন্য দরজাগুলোতে নক করা লজ্জার কিছু নয়। আমরা সবাই কোনো না কোনো পরিবার, সমাজ, দেশ, সর্বোপরি এই পৃথিবীর অংশ। এগুলোর প্রতি আমার যেমন অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, তেমনি এখান থেকে আমার অনেক কিছু পাওয়ারও আছে। যা কিছু আমার পাওয়ার কথা, তা মুখ ফুটে চাওয়া বা হাত বাড়িয়ে নেওয়াও একটা দক্ষতা। মনের যন্ত্রণার কথাগুলো শেয়ার করে, মনের ভার কিছুটা হলেও লাঘব করে যদি নিজেকে বাঁচিয়ে রেখে পৃথিবীর সুন্দর মুহুর্তগুলো উপভোগ করা যায়, তাহলে ক্ষতি কী। একটু ভেবেই দেখুন।
ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিতএই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
Mental stress is our emotional and psychological response when we feel overwhelmed, pressured, or threatened by challenging situations.
Though the era has moved on, the society of our country is still dark. I am saying this because almost all families in our country think “What is mental health again? What is depression?
In the bustling streets of Bangladesh, amidst the vibrant culture and rich traditions, lies a silent struggle that often goes unnoticed—the mental health challenges faced by Bangladeshi men. While the
নারীদের গোটা জীবন আসলে হরমোনের ওঠানামা দিয়ে ভীষণ প্রভাবিত। সেই কিশোরীকাল থেকে মধ্যবয়স অবধি, মাঝে প্রেগনেন্সি, সন্তান প্রসব, ব্রেস্ট ফিডিং -- নানা সময়ে, নানা রকমের হরমোনের ওঠানামা নারীর শরীর ও মনকে নান