জাফিয়া তাসনিম
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা ঠিক যতটা প্রয়োজনীয়, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখা। কিন্তু আমরা প্রায়ই সেটা ভুলে যাই। এমনভাবে চলি যেন মানসিক স্বাস্থ্য কোনো অপরিহার্য বিষয় নয়। বরং নিজেকে মানসিকভাবে কোনো সমস্যায় দেখলে অনেকেই ভাবতে বসেন, “আচ্ছা আমি কি পাগল হয়ে গেছি? ” বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। রাগ, উৎকণ্ঠা, বিষণ্নতা, মুড সুইং অতি স্বাভাবিক একটি অনুভূতি। পৃথিবীতে অনেকেই শারীরিকভাবে অক্ষম কিন্তু শুধুমাত্র মানসিক শক্তির জোরেই অনেক অসাধ্যসাধন করেছেন।
পুরুষেরা সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে চায় না। মনে করে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বললেই লোকে তাঁকে ভীরু আর কাপুরষ ভাববে। ফলাফল নীরবে মেনে নেন মানসিক চাপ এবং এক সময় আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়েন। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে ভালো থাকবে আমাদের দৈনন্দিন জীবন, সম্পর্ক এবং সামগ্রিক ভালোবাসা।
আজ মনের বন্ধু জানাচ্ছে পুরুষদের পাঁচটি প্রধান মানসিক সমস্যা
মানসিক চাপ
পুরুষেরা যে চাপ অনুভব করেন তা প্রকাশ করতে চান না, পারেনও না। পড়ালেখা এবং চাকরি জীবনের প্রতিটি ধাপে মানসিক চাপ নিয়ে থাকেন তাঁরা। অন্যতম কারণ, বাড়ির ছেলে হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তাকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে এটি ছোটবেলা থেকেই বলা হতে থাকে। তাঁরা বারবার মনে করতে থাকেন, “আমি কি সকলের আশা পূরণ করতে পারব? আমার দ্বারা কি এই কাজটি হবে? ”
বিষণ্নতা
একটি কথা প্রায় শোনা যায়, “ছেলে মানুষের আবার মন খারাপ কিসের? ” ছেলে হোক বা মেয়ে বিষণ্নতায় ভোগেন সবাই। প্রায় কমবেশি অনেক পুরুষই বিষণ্নতার মধ্যে দিয়ে যায়। কেউ হয়তো ভোগেন চাকরি না পাওয়ার দুশ্চিন্তায়, কেউ হয়তো ভাবতে থাকেন পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে, চাকরিজীবী পুরুষদের চিন্তা থাকে সংসার সামলানো নিয়ে। এসব নানা চিন্তায় বেশির ভাগ পুরুষ মানসিক চাপ অনুভব করেন।
উদ্বেগ
নানা পরিস্থিতিতে পুরুষেরাও উদ্বেগবোধ করেন। তাঁরা চেষ্টা করেন তাদের ভাবনাগুলি বা উদ্বেগের বিষয়ে অন্য কাউকে অবগত না করতে বা অন্যদের প্রভাবিত না করতে। পুরুষদের সামাজিক অবস্থান, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের চাপ এই অনুভবকে আরও জটিল করে তুলে।
সম্পর্কের টানা পোড়ন
সম্পর্কের বিচ্ছেদ অথবা ঝগড়া, তিক্ততা ইত্যাদি অনুভূতি অনুভব করেন পুরুষেরাও। যেহেতু তাঁরা তাদের মানসিক যন্ত্রণার কথা প্রকাশ করতে পারেন না, সম্পর্কে সমস্যা দেখা দিলে তা প্রতিকার করার পরিবর্তে দূরত্বের সৃষ্টি করে, নিজেদের অসহায় মনে করে। নারীরা তাঁদের মনের কথা তুলে ধরতে পারে। কিন্তু পুরুষেরা অধিকাংশ সময় তাঁদের ভাবনা বা অনুভূতি গোপন রাখার ওপর প্রাধান্য দেন। পুরুষেরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁদের ভাবনা বা অনুভূতি প্রকাশ করতে অস্বস্তিবোধ করেন।
আত্মহত্যার প্রবণতা
পুরুষেরা অনেক সময় নেতিবাচক পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে না পেরে মদ কিংবা ড্রাগের দিকে ঝুঁকে পরেন। পরবর্তীতে এগুলো আত্মহত্যার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে।
সহায়তা নিন মনের বন্ধুর: “আপনাকে আপনার চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে না। তাদের আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করা বন্ধ করতে হবে “-ড্যান মিলম্যান। পুরুষদের উচিত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সবার নেতিবাচক মন্তব্য না শুনে, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং ইতিবাচকতার সঙ্গে সেটার পরিচর্যা করা। আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে ও আপনার মনের সব কথা শুনতে মনের বন্ধু আপনার একজন ইতিবাচক বন্ধু হিসেবে সব সময়ই প্রস্তুত। তাই জীবনের যে কোনো সমস্যায় আমাদের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। আপনার জীবনের পথচলা সুন্দর হোক এই শুভকামনা রইল
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
আমরা অনেক সময় সামনে থাকা মানুষটির কথা থামিয়ে দিয়ে, তাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে যাই। এ অভ্যাসটিও একজন সহমর্মী শ্রোতা হবার পথে বাধা।
In the bustling streets of Bangladesh, amidst the vibrant culture and rich traditions, lies a silent struggle that often goes unnoticed—the mental health challenges faced by Bangladeshi men. While the
দুশ্চিন্তা তো কম-বেশি আমরা সবাই করি! তবে কোনো একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা বা উদ্বেগ স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উদ্বেগ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং কারো দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘট
নারীদের গোটা জীবন আসলে হরমোনের ওঠানামা দিয়ে ভীষণ প্রভাবিত। সেই কিশোরীকাল থেকে মধ্যবয়স অবধি, মাঝে প্রেগনেন্সি, সন্তান প্রসব, ব্রেস্ট ফিডিং -- নানা সময়ে, নানা রকমের হরমোনের ওঠানামা নারীর শরীর ও মনকে নান