ইদানীং সারাক্ষণ অবসাদগ্রস্থ লাগে। লো মুড মনে হয়। কোন কিছু করতে মন চায় না। ক্লান্তি, আলস্য, অবসাদ, ঘুম ঘুম ভাব যেন লেগেই আছে। মনোযোগ রাখা যাচ্ছে না কোন কিছুতে। আমরা জানি, এগুলো ডিপ্রেশন বা বিষন্নতার লক্ষণ। তবে প্রায় একই রকম লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যেতে পারে কিছু শারিরীক রোগের ক্ষেত্রেও। বিশেষ করে হরমোনজনিত সমস্যায়। যেমন, থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিতে এসব উপসর্গ প্রায় হুবহু মিলে যায়। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকেরা থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করতে বলে থাকেন।
অবসাদ, ক্লান্তি, মনোযোগে ঘাটতি, খেতে ইচ্ছে না করা, সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, লো মুড-এই সব উপসর্গ ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে যেমন হতে পারে, তেমনি হাইপোথাইরয়েডিজমেরও লক্ষণ।
থাইরয়েড আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি। প্রজাপতির আকারের মতোই বেশ বড় গ্রন্থি এটি, থাকে আমাদের গলার ঠিক সামনে, কন্ঠনালীর ওপর। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত থাইরয়েড হরমোনই আমাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ, বিপাকক্রিয়া ও দৈনন্দিন শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। কোন কারণে এই হরমোনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের প্রায় প্রতিটি কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্থ হয়। সেই সাথে দেখা দেয় মানসিক কিছু বিপর্যস্ততাও, যার কথা আগেই বলেছি। এর অনেকগুলোই মিলে যায় ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা রোগের সাথে। আসুন দেখে নিই কোন কোন উপসর্গগুলো ডিপ্রেশন ও থাইরয়েড হরমোন ঘাটতি বা হাইপোথাইরয়েডজিমে ‘কমন’ পড়ে যায়।
অবসাদ, ক্লান্তি, মনোযোগে ঘাটতি, খেতে ইচ্ছে না করা, সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, লো মুড-এই সব উপসর্গ ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে যেমন হতে পারে, তেমনি হাইপোথাইরয়েডিজমেরও লক্ষণ। তবে থাইরয়েড সমস্যায় এর বাইরেও আরও কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন, হৃদস্পন্দন বা পালস রেট কমে যাওয়া, শীত লাগা, শুষ্ক ত্বক, চুল পড়ে যাওয়া, ওজন বৃদ্ধি, মুখ বা পা ফোলা, অনিয়মিত মাসিক বা অতিরিক্ত মাসিক, বন্ধ্যত্ব, বার বার গর্ভপাত, গলায় গলগণ্ড বা ফোলা থাইরয়েড ইত্যাদি। এসব লক্ষণ থাকলে অবশ্যই থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। পরিবারে কারও থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার ইতিহাস থাকলে সেটাও বিবেচনায় আনতে হবে। আবার বিষণ্নতার এসব উপসর্গ কোনো হরমোনজনিত সমস্যা ছাড়া কেবল মানসিক সমস্যাতেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের অন্যান্য উপসর্গগুলোও লক্ষ করুন। যেমন, ঘুম না হওয়া বা ঘুম ভেঙে যাওয়া, আত্মহত্যার চিন্তা, ওজন কমতে থাকা, নিজের প্রতি উদাসীন মনোভাব ইত্যাদি।
থাইরয়েডের কারণেই হোক বা এমনি অন্য কোনো কারণে, ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় থাইরয়েড হরমোন ঘাটতির কারণে সমস্যা হয়ে থাকলে চিকিৎসার মাধ্যমেই উপসর্গগুলো অনেকটা কমে আসে। আবার কখনো কখনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্যেরও প্রয়োজন হয়। তাই বিষণ্নতার উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসা নিন। অন্য যে কোন রোগের মত এটিও একটি রোগ এবং এর সমাধানও সম্ভব।
ডাঃ তানজিনা হোসেন গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
আমরা অনেক সময় সামনে থাকা মানুষটির কথা থামিয়ে দিয়ে, তাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে যাই। এ অভ্যাসটিও একজন সহমর্মী শ্রোতা হবার পথে বাধা।
In the bustling streets of Bangladesh, amidst the vibrant culture and rich traditions, lies a silent struggle that often goes unnoticed—the mental health challenges faced by Bangladeshi men. While the
আমাদের মন কত-শত কারণেই না খারাপ হয়! প্রিয় বন্ধু্র সাথে ঝগড়া হলে, পছন্দের বইটি হারিয়ে গেলে, পরীক্ষায় খারাপ করলে আমরা বলি ‘মনটা খুব খারাপ’। কিন্তু মন খারাপ মানেই কি আমি বিষন্নতায় ভুগছি? নাকি ডিপ্রেশনে ভ
দুশ্চিন্তা তো কম-বেশি আমরা সবাই করি! তবে কোনো একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা বা উদ্বেগ স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উদ্বেগ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং কারো দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘট