তাসমীম হোসাইন
নিজের যত্ন নেওয়ার কথা শুনলেই ব্যায়াম, ডায়েট, ত্বক চর্চার এই উপায়গুলো ছাড়া আর কী কোনো বিষয় মাথায় আসে আপনার? একটা দামি পোশাক, পারলারে গিয়ে পেডিকিওর কিংবা পছন্দের রেস্তোরাঁয় নিজেকে ট্রীট দেওয়া - সেল্ফকেয়ার বা নিজের যত্ন নেওয়া কি কেবল এতটুকুই? নাকি সেল্ফকেয়ারের বিষয়টি বিলাসিতা থেকে বের হয়ে এসে আরও সহজ আর সরল কিছু? চলুন টাকা পয়সার হিসেব পাশে রেখে একেবারে ভিন্ন মাত্রার কিছু যত্ন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক -
"না" বলতে পারা
মানসিকভাবে অস্বস্তি বা অশান্তিতে পড়বেন, এমন কাজগুলোকে "না" করে দিন। যেমন করে বললে সম্পর্ক নষ্ট হবে না, তেমন করে গুছিয়ে "না" বলুন।
সীমানা টানা
ব্যক্তিগত এবং পেশাগত সব সম্পর্কের ক্ষেত্রে সীমারেখা নির্ধারণ করুন। আপনার সঙ্গে কে কীভাবে কথা বলবে, কতটুকু কী বলা যাবে, আপনার কতটুকু কাছে আসা যাবে, কারও অনুরোধ কতদূর পর্যন্ত রাখবেন - এসব বিষয়ে স্পষ্টভাবে সীমানা নির্ধারণ করে দিন।
নিজেকে ক্ষমা করা
অতীত কিংবা বর্তমানের করা ভুলগুলোর জন্য নিজেকে ক্ষমা করে দিন। ভুলগুলোকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম
নিয়মিত আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন। রোজকার রুটিনে কিছুটা সমন্বয় করে হলেও ঘুমের সময়টা ঠিক রাখুন।
নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকা
যেসব কাজ, জায়গা অথবা মানুষের কাছ থেকে নেতিবাচক অনুভব বা ইঙ্গিত পান, তাদের যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনার জন্য কারা জরুরি এবং কারা জরুরি না, সেটি উপলব্ধি করুন।
ডিজিটাল ডিটক্স
মাঝে মাঝে ডিভাইস থেকে লম্বা সময়ের জন্য ছুটি নিন। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান। এ সময়ে চাইলে কাছের মানুষদের সঙ্গে সশরীরে আড্ডা দিতে পারেন অথবা করতে পারেন নিজের পছন্দের কোনো কাজ।
নিজের সঙ্গে কথা বলা
নিজের সঙ্গে কথা বলুন, নিজের সব অনুভূতিকে স্বীকৃতি দিন, বৈধতা দিন এবং নিজেই নিজের শক্তি হয়ে উঠুন।
সৃজনশীল কাজ করা
ভেতরকার সৃজনশীলতাকে বের করে আনুন। কিছুটা সময় সেসব কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।
সূর্যালোক গ্রহণ
শারীরিকভাবে কোনো সমস্যা না থাকলে দিনের একটা ভাগে সূর্যের আলো গায়ে লাগাবার অভ্যাস করুন। এতে শরীর, মন দুটোই ভালো থাকে।
রোজ এসব ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে কোনো টাকা খরচ হবে না কিন্তু আমরা আমাদের সেল্ফ কেয়ার রুটিনে নিয়ে আসতে পারি অগ্রগতি। তাই নিজের যত্ন নিন, নিজের প্রতি সদয় হোন এবং ভেতরের সহমর্মিতা ছড়িয়ে দিন আশপাশের সবখানে।
আপনি ভালো থাকলেই ভালো থাকে পৃথিবী।
ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিতএই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
এই ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ‘ছুটি’ মানে মুক্তি, আনন্দ, বিশ্রাম! ছুটি শুনলেই মন ছুট লাগাতে চায় দূর তেপান্তরে! তবে অনেক সময়ই দেখা যায় ছুটির দিনেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে দাওয়াতে, আপ্যায়নে, সামাজিকতায় আর আতিথেয়তায়
এ সমাজটা বিভিন্ন কাজের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। আপনি প্রতিদিন কাজ করছেন নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য। কিন্তু কোন কাজটা আপনার জন্য, আপনি কোন কাজটা ভালো পারবেন, তা বের করাটা জরুরি। ধরুন আপনি একজন শি
একটি রোমান্টিক সম্পর্কে দুজন বুনতে থাকেন নানা স্বপ্ন। সঙ্গে ভালো থাকার ফিলোসফি। প্রেমের সম্পর্কের শুরুটা থাকে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো। জীবনটা মনে হয় ভীষণ রকম রোমাঞ্চকর। অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ। ভিন্ন ভি
দৈনন্দিন জীবনে আমরা মানুষকে নানা রকমের উপহার দিয়ে থাকি। জন্মদিনে, পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের উপলক্ষ ধরে কিংবা কোনো উপলক্ষ ছাড়াই কাছের মানুষটিকে খুশি করার জন্য উপহার দিই আমরা। কিন্তু কখনো নিজেকে ক