Student packages and discounts ongoing!

ইয়োগার মাধ্যমে নিজেকে খোঁজা

জাফিয়া তাসনিম

YOGA SELF CARE TIPS & TRICKS

মানুষ সব সময়ই নিজেকে জানতে চেয়েছে, খুঁজতে চেয়েছে। নিজেকে খুঁজে পেতে কখনো প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়েছে, কখনো নিজেকে আড়ালে রেখেছে। এমন একটি মাধ্যম হলো যোগব্যায়াম বা ইয়োগা। ইয়োগা মানুষের শরীর ও মস্তিষ্কের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে। যুগ যুগ ধরে অনেক মানুষ এটির অনুশীলন করে আসছে। এটি একটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যকর জীবনধারা যা আমাদের মানসিক ও আত্মিক উন্নতির সাধন করে।

ইয়োগা কেন করা উচিত?

ইয়োগা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত ইয়োগা শরীরের স্থিতিস্থাপকতা ও শক্তি বৃদ্ধি করে, মানসিক চাপ কমায়, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এটি মানসিক প্রশান্তি ও একাগ্রতা বাড়িয়ে দেয়, জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও গড়ে তোলে।

চলুন জেনে নেই ইয়োগার মাধ্যমে কীভাবে আমরা নিজেদের খুঁজে পেতে পারি

১. সচেতনতা এবং উপস্থিতি

ইয়োগা আপনাকে বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগী হতে সাহায্য করে। এটি আপনার চিন্তা এবং শারীরিক অনুভূতির মধ্যে সংগতি বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা আপনাকে নিজের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত করে।

২. শারীরিক সচেতনতা

ইয়োগা অনুশীলন শরীর সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। অনুশীলন করার সময় আপনি আপনার শরীরের নেতিবাচক এবং ইতিবাচক দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। নানা শারীরিক সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় এই ইয়োগা থেকে।

৩. মানসিক ভারসাম্য

ইয়োগা মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং চাপ কমাতে সহায়তা করে। এর ফলে শরীরে হরমোনের সমতা বজায় থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৪. ইতিবাচকতা

ইয়োগা নিজেকে গ্রহণ করা এবং নিজের প্রতি সহানুভূতিশীলও হতে শেখায়। এটি এক ধরনের আত্ম-আবিষ্কার যা আপনার শক্তি এবং দুর্বলতা উভয় দিক বুঝতে এবং গ্রহণ করতে সহায়তা করে। এতে করে পরবর্তীতে আপনি হয়ে উঠতে পারবেন একজন ইতিবাচক ব্যক্তি।

নিয়মিত ইয়োগা অনুশীলন করলে নানা ভাবে উপকার পাওয়া যায়। মানসিক স্বাস্থ্যকে অনেক দৃঢ় করে। ফলে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন

ব্লগটি মনের বন্ধু এক্সপার্ট দ্বারা রিভিউয়ের পরে প্রকাশিত

এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।

এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।

মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।

📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা

You might also like this

BLOG

কীভাবে সহমর্মী শ্রোতা হব?

আমরা অনেক সময় সামনে থাকা মানুষটির কথা থামিয়ে দিয়ে, তাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে যাই। এ অভ্যাসটিও একজন সহমর্মী শ্রোতা হবার পথে বাধা।

BLOG

কেন আমরা কাজ ফেলে রাখি?

রুমের কোণায় পড়ে থাকা চেয়ারটিতে কাপড়ের স্তুপ জমে জমে ছোটোখাটো একটা এভারেস্ট হয়ে যাচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন একদম চলেই এসেছে, তবু এখনো শুরু করতে পারছি না। প্রায় প্রতিদিন যা করে এসেছি, যা আমার ন

BLOG

মেডিটেশন কি সত্যিই জরুরি?

দিনের যে কোনো একটি নির্দিষ্ট সময় আপনি মেডিটেশন করবার জন্য বেছে নিতে পারেন। হতে পারে তা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। আবার অনেক সময় কাজের ফাঁকে একটু সময় বের করেও মেডিটেশন অনুশীলন

BLOG

ছুটির দিনে মনের যত্ন: কেন, কীভাবে?

এই ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ‘ছুটি’ মানে মুক্তি, আনন্দ, বিশ্রাম! ছুটি শুনলেই মন ছুট লাগাতে চায় দূর তেপান্তরে! তবে অনেক সময়ই দেখা যায় ছুটির দিনেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে দাওয়াতে, আপ্যায়নে, সামাজিকতায় আর আতিথেয়তায়