মেহেদী মোবারক
আমরা প্রায়ই স্বপ্ন দেখি। এই ‘স্বপ্ন’ বিষয়টা কী? কেন স্বপ্ন দেখি আমরা? এমন অনেক প্রশ্নই আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে পারে।
স্বপ্ন হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের মনে আসা ছবি, কথা, শব্দ, চিন্তা এবং আবেগ-অনুভবের বহিঃপ্রকাশ। এই স্বপ্ন তীব্র আবেগপূর্ণ, ভয়ানক, সুন্দর, স্পষ্ট থেকে অস্পষ্ট, এলোমেলো, বিভ্রান্তিকর, বিরক্তিকরও হতে পারে। আধুনিক বিজ্ঞানে এখনো স্বপ্ন নিয়ে অনেক বিষয় অজানা। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন, আমরা যখন ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মনে রাখতে পারি না।
স্বপ্ন অনেক রকম হয়। কিছু স্বপ্ন অনেকে বারবার দেখে। যেগুলোকে পুনরাবৃত্ত স্বপ্ন বলে। গবেষকেরা জানান, দীর্ঘসময় কোনো চাহিদা অপূর্ণ থাকলে মানুষ এই ধরনের স্বপ্ন দেখে। আরেক ধরনের স্বপ্ন হলো ‘লুসিড ড্রিম’। যে স্বপ্ন আমরা হালকা বা যথেষ্ট জাগ্রত অবস্থায় দেখি। এই স্বপ্নকে মানুষ রীতিমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা সবাই কখনো না কখনো ভয়ানক স্বপ্ন দেখি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভয়ানক স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়। এ ধরনের স্বপ্নকে ‘ভিভিড নাইটমেয়ার’ বলে। ভয়ানক স্বপ্নকে অনেকে ‘স্ট্রেস ড্রিম’ও বলেন। স্বপ্নের আরেকটি ধরন হলো ‘ফিভার ড্রিম’। এ ধরনের স্বপ্নে আমরা শারীরিক কোনো অবস্থানগত পরিবর্তন দেখি। যেমন হাতের আঙুল বা পা অনেক বড়-ছোট হয়ে গেছে। কিংবা শারীরিক কোনো ক্ষতি, অসুস্থতা, ইত্যাদি।
মানুষ অনেক ধরনের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সব স্বপ্ন কি মনে রাখতে পারে? আমরা অনেক স্বপ্ন দেখলেও কিছু স্বপ্ন মনে করতে পারি। আর কিছু স্বপ্ন আমরা অনুভব করি, কিন্তু মনে করতে পারি না। এ ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা যায়, ঘুমের চারটি ধাপের মধ্যে আরইএম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট) ধাপে যেসব স্বপ্ন দেখি, তা অনেকটাই স্পষ্ট। সে স্বপ্নগুলো ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের মনে থাকে। এর কারণ, এই ধাপে শরীরের বেশির ভাগ অংশ নিষ্ক্রিয় থাকলেও মস্তিষ্ক জাগ্রত আর সক্রিয় থাকে। তবে যেসব স্বপ্ন আমরা ‘ডিপ স্টেজে’ দেখি, সেগুলোকে ‘এন থ্রি স্টেজ’ স্বপ্ন বলা হয়। এই স্বপ্নগুলো দেখার পর আমরা সাধারণত মনে করতে পারি না। কারণ এই স্টেজে শরীর, মস্তিষ্ক, সবকিছু ধীর গতির, আর কম সক্রিয় হয়ে যায়।
স্বপ্ন আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় অনেক ভূমিকা রাখে। যেমন আমাদের স্মৃতি সংরক্ষণে সহায়তা করে। এ ছাড়া সারা দিন যেসব তথ্য পাই, তা মনে রাখতে স্বপ্ন সহায়তা করে। স্বপ্ন দেখলে আমাদের সৃজনশীলতা বাড়ে। স্বপ্ন আবেগ বাড়াতে সহায়তা করে। স্বপ্ন আমাদের বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত করে কিংবা অনেক কিছু থেকে নিরাপদ রাখে।
তবে কেউ ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখলে, মানসিক সমস্যা হলে; ভয়, অস্থিরতা এবং ঘুমের সমস্যা হলে অবশ্যই সাইকোলজিস্ট কিংবা সাইক্রিয়াটিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
এই ব্লগের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে এতে কিছু প্রতীকি ঘটনা ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ব্লগ বা এর কোনো অংশ পড়ে কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জন্য লেখক ও ‘মনের বন্ধু’ দায়ী নয়। মনের ওপর চাপ অনুভব করলে বা মানসিকভাবে ট্রিগার্ড অনুভব করলে দ্রুত মনের বন্ধু বা যেকোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনের বন্ধুতে কাউন্সেলিং নিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪।
📍: ৮ম ও ৯ম তলা, ২/১৬, ব্লক-বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
আমরা অনেক সময় সামনে থাকা মানুষটির কথা থামিয়ে দিয়ে, তাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে যাই। এ অভ্যাসটিও একজন সহমর্মী শ্রোতা হবার পথে বাধা।
রুমের কোণায় পড়ে থাকা চেয়ারটিতে কাপড়ের স্তুপ জমে জমে ছোটোখাটো একটা এভারেস্ট হয়ে যাচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন একদম চলেই এসেছে, তবু এখনো শুরু করতে পারছি না। প্রায় প্রতিদিন যা করে এসেছি, যা আমার ন
দিনের যে কোনো একটি নির্দিষ্ট সময় আপনি মেডিটেশন করবার জন্য বেছে নিতে পারেন। হতে পারে তা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। আবার অনেক সময় কাজের ফাঁকে একটু সময় বের করেও মেডিটেশন অনুশীলন
এই ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ‘ছুটি’ মানে মুক্তি, আনন্দ, বিশ্রাম! ছুটি শুনলেই মন ছুট লাগাতে চায় দূর তেপান্তরে! তবে অনেক সময়ই দেখা যায় ছুটির দিনেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে দাওয়াতে, আপ্যায়নে, সামাজিকতায় আর আতিথেয়তায়